দেশসেরা প্রতিষ্ঠান আমবাটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন

মোঃ এ কে নোমান, নওগাঁ-
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ বার পঠিত

দেশসেরা প্রতিষ্ঠান আমবাটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন

 

মোঃ এ কে নোমান, নওগাঁ-

 

নওগাঁর পত্নীতলায় দেশের সেরা স্বীকৃতি প্রাপ্ত আমবাটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর এ দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ের আয়োজনে এবং কারিতাসের টিসিআরপি’র সহযোগিতায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

 

র‌্যালি শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঁখি আক্তারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রিজওয়ানুর রহমান রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অফিসের প্রতিনিধি মাজেদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি রাবেয়া খাতুন, কারিতাসের আঞ্চলিক এনিসেটর লিনা বিশ্বাস ও থিউফিন সলোমান হাসদা এবং কারিতাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মি. প্রশান্ত কেরকাটা। এছাড়া নজিপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সহ-সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাংবাদিক আবু মুছা স্বপনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

 

বিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতি তুলে ধরে আলোচনায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। এসব প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে এটি দেশের একমাত্র সনামধন্য বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের মর্যাদা অর্জন করে।

 

বিদ্যালয়টি ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর ও পাটিচরা ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাদের জন্য সুবর্ণ নাগরিক কার্ড প্রদান এবং শতভাগ ভাতা নিশ্চিতকরণে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এসব সেবার ফলে অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রিজওয়ানুর রহমান রেজা বলেন, “আমরা প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা পেলে আমরা আরও উন্নতি করতে পারব।”

 

উপস্থিত অতিথিরা বিদ্যালয়ের এই উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বিদ্যালয়টি এখন স্থানীয়ভাবে শুধু নয়, দেশব্যাপী একটি অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর