মো: এ কে নোমান, নওগাঁ-
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও নওগাঁ সদরে পৃথক অভিযানে র্যাব-৫ দুটি চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তে প্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) গ্রেফতার হওয়া আসামীরা হলেন মো. মিলন (৪১) এবং মো. সাইফুল ইসলাম (৬০)।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সকল তথ্য জানানো হয় । র্যাব জানায়, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানাধীন উত্তরপাড়া এলাকা থেকে সাপাহার থানায় দায়ের হওয়া একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মো. মিলন (৪১) কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রাম গ্রামের মো. সোলায়মান প্রামানিকের ছেলে।
র্যাব আরও জানায়, এই মামলাটি সাপাহার থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০২/০৯/২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছিল। মামলার এজাহার অনুযায়ী, ৩০ আগস্ট ২০২৪ রাতে সাপাহারের সৈয়দপুর ব্রিজ এলাকায় একদল মুখোশধারী ডাকাত পথরোধ করে আব্দুল্লাহ হিল কাফির মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা কাফিকে উদ্ধার করে প্রথমে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাফি মারা যান। এই ঘটনায় কাফির ছেলে যোবায়ের আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই দিনে নওগাঁ সদর থানার কাঠালতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মো. সাইফুল ইসলাম (৬০) কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার আরজি নওগাঁ গ্রামের মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে।
এই মামলাটি সাপাহার থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-১৪/১০/২০২৪, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছিল। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থেকে মহিষ বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এরশাদ ও তার সঙ্গীরা সাপাহার উপজেলার মাইপুর খাড়িব্রিজ এলাকায় ডাকাতদের হামলার শিকার হন। ডাকাতরা রাস্তা অবরোধ করে ৫,৬৬,৮০০ টাকা এবং মোবাইল লুট করে এবং তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ভিকটিমেরা সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ১৪ অক্টোবর এরশাদ নিজে বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
সাপাহার থানার অনুরোধে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি বিশেষ দল পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। জয়পুরহাট এবং নওগাঁ থেকে তদন্তে প্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. মিলন ও মো. সাইফুল ইসলামকে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ায় সাপাহার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানায়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত রাখতে সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।