শাজাহানপুরে মাঠজুড়ে রোপা আমনে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
মো:মহিউদ্দিন বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। যে দিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাঁদরে ঢাকা। চারিদিকে যেন এক অপরূপ দৃশ্য। রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা আর কৃষকের মন। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার থমকে দাঁড়ায় পথিক। আর কিছু দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। সেইসাথে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়,এবার উপজেলায় ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৬১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে,উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে খরনা,আশেকপুর,গোহাইল ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নের জমিগুলোতেও রোপা আমন ধানের চাষ করেন কৃষকরা। এসব এলাকার মাঠগুলোতে চাষকৃত রোপা আমন ধানের মধ্যে ব্রি-৪৯,কাটারী, রনজিত,বিনা-১৭ উচ্চ ফলনশীল অনেক জাতের হাইব্রিড ধানের চাষও হয়ে থাকে।
সাজাপুর গ্রামের কৃষক হাসান বলেন, এ মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করেছি,সময়মতো সার দেওয়াসহ সঠিকভাবে জমির পরিচর্যা করায় এখন ধানগাছের অবস্থা খুবই ভালো। জমির যে অবস্থা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আমিনা খাতুন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষীদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের রোপা আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে প্রণোদনা হিসাবে ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। সেইসাথে অল্প খরচে অধিক ফলন যাতে কৃষক পান সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।