স্কুলছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ১৫ দিন পর পাওয়া গেলো ঢাকার রেস্টুরেন্টে!

বড়্ইাগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭১ বার পঠিত

নিখোঁজের ১৫ দিন পর বড়াইগ্রামের স্কুল ছাত্রের সন্ধান মিললো ঢাকার রেস্টুরেন্টে!

 

বড়্ইাগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:

অনেকটা সিনেমার গল্পের মতোই ঘটনাটি। অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলো ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র ছেলেটি। এ কারণে মায়ের পিটুনী খাওয়ার পর রাগে-অভিমানে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। এরপর মা-বাবা সহ আত্মীয়-স্বজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খুঁজেও সন্ধান মেলাতে পারেনি তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে তার সন্ধান চাওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও খোঁজ মেলেনি তার। বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকাতেও ধ্রæবের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। থানায় সাধারণ ডায়েরী করে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়। কিন্তু কোনভাবেই সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। অবশেষে ১৫ দিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ধ্রæবের এলাকার একজন ব্যক্তি ঢাকার ভাটারা বসুন্ধরা এলাকায় একটি ছোট্ট রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ধ্রæবকে অবিস্কার করে। ওই সময় ধ্রæব নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করলেও নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।


নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি ভবানীপুর গ্রামের রিংকু এসেনসনের ছেলে ও বনপাড়া সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ধ্রæব এসেনসন (১২) গত ৬ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলো। এ বিষয়ে পরের দিন বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ধ্রæবের মা করুণা মারিয়া হালদার।

ধ্রæবের বাবা রিংকু এসেনসন জানান, অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে আসক্তি হয়ে যাচ্ছিলো তার ছেলে ধ্রæব। লেখাপড়াও ঠিকমতো করতো না সে। যার কারণে ৬ অক্টোবর দুপুরে তার মা তাকে মারধর করে। এতে রাগে-অভিমানে দুপুরেরই কোন এক সময় ছেলেটি কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি ও বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। রোববার রাত ৮টার দিকে একই গ্রামের এবং বর্তমানে ঢাকাস্থ বাসিন্দা সৌরভ কোড়াইয়া ভাটারা বসুন্ধরা এলাকার ওয়ান স্টার নামক রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলে ওই ধ্রæবই সৌরভকে টেবিলে খাবার দেয়। খাবার সেরে সৌরভ ১০টাকা টিপস্ দিতে গিয়ে মুখের দিকে চেয়ে চেনা চেনা মনে হয় তার। এ সময় পরিচয় জানতে চাইলে ধ্রæব পরিচয় গোপন রেখে বলে তার বাড়ি বরিশাল। কিন্তু ভাষা ও চেহারা দেখে কয়েকবার সত্যিটা জানতে চাইলেও ধ্রæব নিজের পরিচয় আড়াল করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ভিডিও কল করে চেহারা দেখানোর পর আতœীয়-স্বজন সহ আমি (বাবা) ওই রেস্টুরেন্টে গিয়ে ধ্রæবকে নিয়ে আসি।


বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্র ধ্রæবকে খুঁজে পেতে পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। সোমবার রাতে ধ্রæবকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে পাওয়া গেছে। পরে ধ্রæবকে তার বাবা রিংকু এসেনসনের কাছে হস্তান্তর করেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর