নন্দীগ্রামে আবাসিক এলাকায় মিল স্থাপন: চরম ভোগান্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা
আরাফাত হোসেন নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আবাসিক এলাকায় মিল বসানোর কারণে পরিবেশ ব্যাপক শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও জারি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডে কচুগাড়ির মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ টুকু “মেসার্স একতা ট্রেডার্স“ নামে একটি মিল তার বাড়িতে স্থাপন করেছে যেখানে ধান, হলুদ, মরিচ, সরিষা, আটা ভাঙ্গানো হয়। এসব ভাঙ্গানো কাজের সময় ওই মিলটি যখন চালু করা হয় তখন আশপাশের বসবাসরত লোকজন মিলের বিকট শব্দে পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিকমতো শান্তিতে বসবাস করতে পারে না। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও চরম ভোগান্তিতে রয়েছে স্থানীয় অসুস্থ রোগীদেরও বলে ওই মিল মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ডের ডাক্তার ইকবাল মাহমুদ লিটন অভিযোগ করে বলেন, তার একজন অপারেশনের রোগী রয়েছে, আমি একজন ডাক্তার কর্ম শেষে একটু বিশ্রামের জন্য যখন বাড়িতে আসি একটু বিশ্রাম করব বলে, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় মিল চালু করার সাথে সাথে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়, পরিবারের লোকজন এই মিলের কারণে সবাই অশান্তিতে বসবাস করছে।
স্থানীয় একজন স্ট্রোকের মহিলা রোগী বলেন, আমি একজন অসুস্থ মানুষ এমনিতেই তো রোগ নিয়ে বসবাস করছি শান্তি পাই না এর ভিতরে আবার যখন মিল চালু করা হয় মিলের শব্দের কারণে বাড়িতে থাকা বড় দায় হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আবু হানিফ জানান, এই মিলের কারণে আমার মেয়ে পড়াশোনা করতে পারে না মিলটি অতি দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন, এই মিলের কারণে আমাদের বসবাস করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আবু হানিফ আরো জানান, আব্দুল ওয়াহিদ টুকু কোন আইন কানুন মানছে না গায়ের জোরে মেলটি চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তর সরকারি পরিচালক মাহাথির মুহাম্মদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুইবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু উক্ত আব্দুল ওয়াহিদ টুকু কোন জবাব দেন নাই যার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।