বগুড়া সদর থানার সামনে নিউমার্কেটের দোকান তৌফিক জুয়েলার্স থেকে ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিনগত রাতের কোনো একসময় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের। তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ১২০ ভরি গয়না চুরি হয়েছে। টাকার অংকে এক কোটি ৩০ লাখের মতো হবে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে আমরা বাড়ি ফিরে যাই। আজ সকালে দোকানের ব্যবস্থাপক জানায়, সাটারের তালা ভাঙা। খবর পেয়ে মালিক সমিতি ও পুলিশের উপস্থিতিতে দোকান খুলে দেখি দুর্বৃত্তরা সব নিয়ে গেছে।
তৌফিক জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ধলু জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধের পর আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে দোকান খুলে দেখেন, সাটার কিছুটা উঠানো ও সবগুলো তালা ভাঙা। বিষয়টি দোকানের মালিককে ফোনে জানানোর পর তিনি মার্কেটের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহযোগিতায় পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে দোকান খোলা হলে দেখা যায়, সবগুলো গয়না চুরি হয়েছে। সামনে ও পেছনের র্যাকে রাখা ট্রেসহ দুর্বৃত্তরা গয়না নিয়ে গেছে। তবে সিন্দুকে তারা হাত দেননি। এতে নগদ অর্থ ও কিছু গয়না চুরি যায়নি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা যায়, বগুড়া সদর থানার উল্টো পাশেই মাত্র ১৫০ গজ দূরে সমির উদ্দিন নিউমার্কেটে তৌফিক জুয়েলার্সের দুটি দোকান। এরমধ্যে দুই নম্বর দোকানটিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা দোকানের দুইটি সাটারে লাগানো চারটি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সামনে সাজানো ও পেছনের র্যাকে রাখা সব গয়না তারা লুট করে নিয়ে যান।
চুরি হওয়া দোকানের ভেতরে তিনটি ও বাইরে চারটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও ঘটনা ঘটার সময় সেগুলো বন্ধ ছিল। তবে চুরি হওয়া দোকানটির আশপাশের কাপড় ও গয়নার দোকানের বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।
তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসনে বলেন, কারো বিষয়ে সন্দেহ না থাকলেও চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। তারা ভোল্টের কোনো ক্ষতি না করে শুধু বাইরে রাখা গয়না নিয়ে গেছে। দোকানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিল না।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, ‘মার্কেটের সিকিউরিটি আরও বাড়ানো দরকার। পর্যাপ্ত সিকিউরিটি আমরা দিতে পারি না। দোকান মালিকরা যদি সিকিউরিটির টাকাটা দিতেন তাহলে সিকিউরিটি বাড়ানো যেতো। আমরা মার্কেটের সব দোকানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা বারবার বলেছি। বারবার তাগিদ দিলেও কাজ হয়নি।’
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, নিউ মার্কেটে জুয়েলারি দোকানে চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাতের কোনো একসময় চুরির ঘটনাটি সংঘঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে এখানে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।।